আপনি যদি মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টেকেল আপনার জন্য। যার মধ্যে আমরা মোবাইল দিয়ে ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।
মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। পাশাপাশি মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট,ফটো বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।
সূচিপত্র
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম 2025
মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল। যার মধ্যে এখন আমরা আলোচনা করব মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
ব্লগার : ব্লগার হল একটি সেরা মোবাইলে ইনকাম করার সাইট। এখানে ফ্রিতে ব্লগ লিখে ইনকাম করা যায়। ব্লগারের মাধ্যমে ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। সহজেই ওয়েবসাইট খুলে ব্লগ লিখে ইনকাম করা যায়।
আপনি কোন প্রকার হোস্টিং খরচ ছাড়াই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। পরবর্তিতে সেই ওয়েবসাইটে শুধু ডোমেইন সংযুক্ত করে নিতে হবে। ব্লগারের নিজস্ব থীম আছে ওয়েবসাইটের জন্য।
এই থীমগুলির মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট প্রোফেশনাল করতে পারবেন। ব্লগারেে মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে তাতে ব্লগ লিখে, গুগল এডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
Shopify : Shopify একটি ই-কমার্স প্লাটফর্ম। যেখান থেকে অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য কিনতে পাওয়া যায়। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যেকোনো ই কমার্স ওয়েবসাইট খুব সহজেই বানানো যায়। এর মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইট বিল্ডার এর সাহায্যে অনেক হাইকোয়ালিটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
আর এর গতি অনেক বেশি ভালো। যার ফলে শপিফাই ওয়েবসাইটে অনেক ভিজিটর হয়ে থাকে। আর তাই এখানে পণ্য বিক্রি করা অনেক সহজ হয়ে থাকে।
Shopify এর মাধ্যমে আপনি সহজেই মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি এর সাহায্যে একটি ই কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া আপনি এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ড্রপশিপিং করে আয় করতে পারবেন।
আপনি যদি একজন ভালো Shopify ওয়েবসাইট ডেভেলপার হয়ে থাকেন তাহলে এরকম ই কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
Daraz : Daraz হল একটি ই কমার্স প্লাটফর্ম। এখানে প্রায় সব ধরনের পণ্য কেনা বিক্রি করা হয়। আপনি চাইলে এখানে সেলার হয়ে আপনার নিজস্ব পণ্য বিক্রি করতে পারেন। দারাজে আপনি খুব সহজেই একজন লাভবান সেলার হতে পারবেন।
এরজন্য আপনাকে পণ্যের গুণগত মানের দিকে নজর দিতে হবে। আর কম লাভ করতে হবে। তাহলে আপনার পণ্য বিক্রি হবে৷ আর দারাজকে যেহেতু মানুষ বিশ্বাস করে তাই এখান থেকে আপনি সহজেই পণ্য করে মোবাইলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ডারাজে পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করার পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুক : ফেসবুক হল সেরা মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সাইট। এটি একটি সোস্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট। আমরা প্রায় কমবেশি সকলেই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। ফেসবুকের মাধ্যমে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষ মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন। নিচে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে :
- যেকোন ভিডিও বানিয়ে তা ফেসবুকে আপলোড করে যাতে এড থাকবে
- রিলস বা শর্ট ভিডিও বানিয়ে তাতে এড দেখানো।
- ভিডিওতে অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে৷
- স্পন্সরশীপের মাধ্যমে।
- নিজের পণ্য বিক্রি করে।
- ফেসবুক পেজে ব্লগিং ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করে৷
Amazon : Amazon এর নাম শোনে নাই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ই কমার্স মার্কেটের মাধ্যমে তাদের অবস্থান শীর্ষে। অ্যামাজন থেকে অনেকভাবে আয করা যায়। আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে এই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
যেসকল উপায়ে অ্যামাজন থেকে ইনকাম করা সম্ভব :
অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং করে : আপনি অ্যামাজন থেকে বিভিন্ন প্রডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক নিয়ে তা আপনার ওয়েবসাইট, পেজের মাধ্যমে মার্কেটিয় করে প্রডাক্ট বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। এভাবে অ্যামাজনে হাজার হাজার ডলার আয় করা সম্ভব।
ড্রপশিপিং করে : এটিও এক ধরনের মার্কেটিং করে ইনকাম করা। এর মাধ্যমে আপনাকে যেকোনো প্রডাক্ট নিয়ে বিক্রি করে তার পুরো লাভ নেওয়া সম্ভব।
এতে আপনাকে শিপিং এর ঝামেলা পোহাতে হবে না। Amazon আপনার সকল কাজ করে দিবে। ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য আপনাকে আগে বিস্তারিত জানতে হবে।
Amazon সার্ভার বানিয়ে ও ওয়েবসাইট বানিয়ে : আপনি যদি খুব ভালো ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন। তাহলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে Amazon AWS, Amazon Lighsail এর কাজ পাবেন। বৈশ্বিক বাজারে এই কাজগুলোর চাহিদা বেশি।
Amazon Kindle এর মাধ্যমে : আপনি যদি খুব ভালো লিখতে পারেন। তাহলে এখানে আপনার সেই লেখা বিক্রি করে আয় করতে পারবেন
Amazon appstore এর মাধ্যমে : আপনি যদি খুব ভালো অ্যাপ ডেভেলপার হয়ে থাকেন। তাহলে অ্যামাজন অ্যাপস্টোরে আপনার অ্যাপ সেট করে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এভাবে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারবেন।
গেম খেলে টাকা ইনকাম : আপনার মোবাইল ডিভাইসে গেম খেলার জন্য মিস্টপ্লের মতো অ্যাপ আপনাকে পুরস্কৃত করে। আপনি যখন মিস্টপ্লে ডাউনলোড করেন এবং একটি একাউন্ট তৈরি করেন, আপনি আপনার খেলার সময়ের জন্য অ্যাপ মুদ্রা উপার্জন করতে পারবেন। তারপর আপনি Amazon, Best buy এবং অন্যান্য শীর্ষ ব্রান্ডের থেকে উপহার কার্ডের জন্য সেই মুদ্রা ভাঙতে পারবেন।
InboxDollars হল আরকটি অ্যাপ যা আপনাকে গেম খেলতে অর্থ প্রদান করে৷ আপনি এটির অ্যাপের মাধ্যমে সমীক্ষা করে বা অংশীদার খুচরা বিক্রেতাদের কাজে নগদ অর্থ উপার্জন করে সামান্য অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ছবি বিক্রি : আপনি যদি আপনার ফোন দিয়ে ছবি তুলতে পছন্দ করেন তাহলে আপনি ফোন এবং শাটারস্টকের মতো স্টক ফটো ওয়েবসাইটে বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।
Foap আপনাকে আপনার ফোন থেকে আপনার ছবি আপলোড করতে এবং ব্র্যান্ডের কাছে বিক্রি করতে দেয়। আপনি বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য আপনার ফটোগ্রাফির লাইসেন দেন এবং বিনিময় করেন। শাটারস্টক একইভাবে কাজ করে যাতে আপনি ফোটগুলো আপলোড করতে পারেন এবং কেউ সেগুলো ডাউনলোড করলে অর্থ ইনকাম হবে।
Gig apps : Gig অ্যাপগুলো আপনাকে স্থানীয়ভাবে অর্থ ইনকামের সুযোগের সাথে সংযুক্ত করে। আপনি কোন অ্যাপ ব্যবহার করছেন তার উপর নির্ভর করে আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে :
- Walk dogs
- Shop for and deliver groceries
- Deliver restaurant orders
- Drive people around
- Complete odd jobs or simple tasks
অনেক আগে অ্যাপ রয়েছে যা আপনাকে আপনার ফোন দিয়ে অর্থ ইনকাম করতে দেয়। সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু বিকল্পের মধ্যে রয়েছে রোভার, ডোরড্যাশ, ইন্সটাকার্ট, শিপট, পোস্টমেকস, উবার।
রোভার কুকুরের হাঁটার এবং পোষা প্রাণীদের মালিকদের সাথে সংযুক্ত করে যাদের তাদের লোমশ বন্ধুদের যত্ন নেওয়ার জন্য সাহায্যে প্রয়োজন। ডোরড্যাশ আপনাকে স্থানীয় রেস্তোরাঁয় অর্ডার নিতে এবং বিতরণ করার জন্য অর্থ প্রদান করে।
মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আজকের এই আর্টেকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।
মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট
বর্তমানে আমরা যারা মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট নিতে চাই তাদের জন্য এই অংশ। আপনি ঘরে বসেই প্রতিদিন ২০ড় থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কিভাবে মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট নিতে পারবেন :
Add Wallet অ্যাপের মাধ্যমে : ঘরে বসে প্রতিদিন অনলাইনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করতে আপনাকে একটি অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে। অনলাইন জগতের সবচেয়ে সহজ কাজগুলোর একটি হচ্ছে এই অ্যাপস এর কাজ।
এখানে আপনি শুধু এড দেখে ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে কিছু এড দেওয়া হবে। আপনি সেগুলো আস্তে আস্তে দেখবেন। এর পরিবর্তে আপনার একাউন্টে কিছু ডলার যুক্ত হবে। ডলার গুলো আপনি টাকায় কনভার্ট করে বিকাশ নদগ বা রকেটের মাধ্যমে নিতে পারবেন।
Slidejoy অ্যাপস থেকে ইনকাম : আপনার যদি অনলাইনে ভালো পরিমাণ বন্ধু থাকে তাহলে এই অ্যাপসটি আপনাকে খুব বড় সুযোগ করে দিবেন। কারণ এখানে রয়েছে বন্ধুদের মাঝে রেফার করে ইনকাম করার সুযোগ।
তাছাড়া এই অ্যাপসে সাইন আপ করার সাথে সাথে আপনাকে বোনাস ডলার দিবে৷ মাঝে মাঝে কিছু এড দেখার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। প্রতিদিন তিন থেকে চার ঘন্টা সময় দিলেই ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
Woww অ্যাপস এর মাধ্যমে ইনকাম : বর্তমান এই অ্যাপসটি খুবই জনপ্রিয়। অনেক শিক্ষার্থীরাই এর মাধ্যমে ইনকাম করে। এই অ্যাপস রেজিস্ট্রেশন করার সাথে সাথে বোনাস পাবেন। এরপর এখানে কিছু ক্যাটাগরি থাকবে। যেকোন ক্যাটাগরি থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এখান থেকেও আপনি রেফারের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। সবশেষে ডলারগুলো বিকাশ নগদ রকেটের মাধ্যমে তুলতে পারবেন।
কুইজ খেলে ইনকাম : বর্তমানে কুইজ খেলেও ইনকাম করা সম্ভব। আপনার যদি কুইজ নিয়ে ভালো অভিজ্ঞতা থেকে তাহলে আপনি সহজে ইনকাম করতে পারবেন। কুইজ খেলে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব বা তার থেকে বেশি।
দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps 2025
বর্তমান সময়ে সবকিছু অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে আর এই সময়ে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করা খুবই সহজ বিষয়। এখন আর আগের মতো হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে হয় না। আপনার কিছু বেসিক ধারণা থাকলেই অনলাইন থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করা যায়।
আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে এই কাজগুলো করে বাড়তি আয়ের সুযোগ করে নিতে পারবেন। আমরা আজকের পোস্টের মাধ্যমে জানবো দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps 2025 সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা :
- Swagbucks app
- Fiverr app
- Ysense app
- Alamy app
- Youtube app
- Facebook app
- Telegram app
- Upwork app
- Linkedin app
- Workup job app
- Toffee app
- Rokomari app
মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আজকের এই আর্টেকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব ফটো বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।
ফটো বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
বর্তমানে বিভিন্ন ফটোগ্রাফি অ্যাপ ও প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার তোলা ফটো বিক্রি করতে পারবেন। আপনি যদি ঘুরতে পছন্দ করেন তাহলে আপনার জন্য এই কাজটি আরো সহজ হবে।
আপনি যদি একজন ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি সহজ। আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে এই কাজগুলো করতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ফটো বিক্রি করে মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
Foap, Shuttrstock, EyeEm এর মতো অ্যাপগুলো দিয়ে একটি বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে। এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার তোলা ছবি আপলোড করতে পারবেন এবং যখন কেউ সেই ছবি জিনবে আপনি কমিশন পাবেন। মোবাইল ফোনের উচাচমানের ক্যামেরা ব্যবহার করতে হবে।
শুধু ফটো তোলার সময় কিছু মৌলিক ফটোগ্রাফি কৌশল মেনে চললেই হবে। একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় ফটো তোলার পরে সেটা নির্দিষ্ট ফটোগ্রাফি প্লাটফর্ম আপলোড করুন। আপনার পছন্দের মূল্যের সেটি বিক্রির তালিকাভুক্ত করুন। ফটো বিক্রির মাধ্যমে অর্জিত টাকা আপনি সরাসরি মোবাইল এর মাধ্যমে পেয়ে যাবেন।
মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আজকের এই আর্টেকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ
টাকা ইনকাম অ্যাপসগুলো অনেক কাজের। এই অ্যাপ কোম্পানীগুলো প্রচুর পরিমাণ ইনকাম করছে বলেই কিন্তু আমরা বেশি টাকা ইনকাম করতে পাচ্ছি। আমরা যারা বেকার বসে থাকি বা যারা ছাত্র তারা সকলেই মোবাইল অ্যাপস দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
Swagbucks টাকা ইনকাম অ্যাপ : অনলাইনে খুব সহজেই ইনকাম করার একটি অসাধারণ অ্যাপ এটি। এই অ্যাপের সাহায্যে আপনি সার্ভে করে, ভিডিও দেখে, রেফার করে ইত্যাদি নানা মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
আপনি যদি এন্ড্রয়েড ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে। তারপর একাউন্ট তৈরি করতে হবে। একাউন্ট খোলার পর এখানে বিভিন্ন কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে সার্ভে করে ভালো আয় করতে পারবেন।
Upwork : আপনি যদি অনলাইন থেকে প্রতিমাসে বড় ধরনের টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে Upwork হবে আপনার জন্য অন্যতম সেরা অ্যাপ। আপনার যদি যেকোন কাজে ভালো পরিমাণ দক্ষতা থাকে তাহলে এখানে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
এটি একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। আপনি এখানে ফিক্সড প্রাইজ ও ঘন্টা হিসেবে কাজ করতে পারবেন। এখানে কাজ করার জন্য আপনাকে ডাটা এন্ট্রি, ভার্টুয়াল এসিস্টেন্ট, সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি কাজ করতে পারেন।
Upwork থেকে টাকা ইনকামের জন্য এখানে আটনার সকল তথ্য ও আপনার দক্ষতার তথ্য দিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে। আপনাকে আপনার কাজের পোর্টফোলিও সেট করতে হবে। এরপর কাজের জন্য আবেদন করতে হবে।
আপনি কাজ পেয়ে গেলে বায়ার আপনাকে কাজে নিবে ও কাজ শেষে টাকা প্রদান করবে। আপওয়ার্কে ঘন্টা হিসেবে কাজ করার জন্য আপনাকে Upwork টাইম অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে। Upwork অ্যাপ দিয়ে আপনি কাজে অ্যাপ্লাই করা, কাজ দেখা, বায়ারের সাথে কথা বলা, টাকা উঠানো ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন।
Fiverr app থেকে টাকা ইনকাম : ফাইবার একটি অন্যতম টাকা ইনকাম করার অ্যাপ। বাংলাদেশ থেকে অনেক ফ্রিল্যান্সার এখানে কাজ প্রচুর টাকা ইনকাম করছে। এখানে থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়।
এখানে কাজ করার জন্যেও আপনাকে বিভিন্ন কাজে দক্ষ হতে হয়। এখানে নানা ধরনের কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। ফাইবারে লোগো ডিজাইন search engin Optimization, সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটেং, ইমেইল মার্কেটিয়, ডাটা এন্ট্রি, টাইপিংসহ নানা ধরনের কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়।
ফাইবার থেকে ইনকাম করার জন্য এখানে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্ট খোলার সময় আপনার তথ্য ও দক্ষতার তথ্য দিতে হবে। এরপর আপনি যে কাজ পারেন তার একটি গিগ খুলতে হবে। আপনার গিগ দেখে কেউ আপনাকে কাজে নিলে আপনি কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
Foap অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম : আপনি যদি ভালো ছবি তুলতে পারেন এবং ভিডিও করতে পারবেন। তাহলে খুব সহজেই আপনি ছবি ও ভিডিও বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। এটা অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করার একটি মাধ্যম। এখান থেকে খুব ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে এবং ভিডিও করে এই অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড করে আয় করতে পারবেন। এখানে বেশ ভালো পরিমাণ টাকা ইনকামের সুযোগ রয়েছে। অনেক বেশি পরিমাণ ইনকামের জন্য এখানে আপনাকে ভালো মানের ছবব আপলোড করতে হবে। আপনার আয়ের ৫০% এই অ্যাপ কোম্পানি কেটে নিবেন।
bKash টাকা ইনকাম অ্যাপ : এটি একটি বাংলাদেশি অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে যেকোনো টাকা ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ, পে বিল, এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে টাকা পাঠানো ইত্যাদি করা যায়।
আপনি বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অ্যাপের referral program ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য এর অ্যাপ থেকে Refer bKash App এক্লিক করে এখান থেকে রেফারেল লিংক সংগ্রহ করতে পারবেন।
তারপর সেই লিংক বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া, ইউটিউব, ওয়েবসাইট ইত্যাদিতে শেয়ার করতে হবে। আপনার দেওয়া লিংকে যদি কেউ বিকাশ একাউন্ট খুলে তাহলে আপনি ৫০ টাকা আপনার একাউন্টে পেয়ে যাবেন। এভাবে প্রতিদিন আপনি ১০ জনকে একাউন্ট খোলাতে পারেন তাহলে দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
Uber Driver : এটি খুব জনপ্রিয় টাকা ইনকাম করার অ্যাপস। আপনার যদি একটি গাড়ি বা বাইক থাকে তাহলে আপনি অনায়েসেই এই অ্যাপ থেকে ইনকাম করতে পারেন। এটি একটি যাত্রী পরিবহনের অ্যাপ। আপনার যদি গাড়ি না থাকে তাহলে কমদামি গাড়ি কিনে এখানে ড্রাইভ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এখানে থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে ড্রাইভার হিসেবে একাউন্ট খুলতে হবে। কিছুদিনের মধ্যেই আপনার একাউন্ট চালু হয়ে যাবে। এরপর এই অ্যাপের সাহায্য আপনি সহজেই যাত্রী পেতে পারেন।
আপনার ইনকামের ২৫% টাকা ুবার নিয়ে নিবে। বাকি টাকা আপনার নিজের। অ্যাপে আপনার সকল তথ্য দেওয়া থাকলে যাত্রী আপনাকে কল করে ডেকে নিবে। অনেকেই উবারের মাধ্যমে মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ইনকাম করেন।
FoodPanda app এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম : আপনি যদি খুব ভালো রান্না করতে পারেন তাহলে আপনি আপনার সেই রান্না করা খাবার অনলাইনে বিক্রি করে ফুড পান্ডা মোবাইল অ্যাপস দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বাড়তি দোকান বা রেস্টুরেন্টে দিতে হবে না।
আপনি ঘরে বসে রান্না করে ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার যদি কোন দোকান বা রেস্টুরেন্টে থাকে তাহলে আপনি সেই রেস্তোরাঁর খাবার এই অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। তাতে আপনার কোন পরিবহন খরচ লাগে না৷
ফুড পান্ডাতে খাবার বিক্রি করার জন্য আপনাকে অ্যাপ ইন্সটল করে পার্টনার হিসেবে আবেদন করতে হবে। এরপর ফুড পান্ডা টিম আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আপনাকে ট্রেনিং দেওয়া হবে। তারপর আটনার খাবার এই অ্যাপে লাইভ হয়ে যাবে।
মেনু থেকে কেউ আপনার খাবার অর্ডার করলে রাইডার এসে আপনার খাবার নিয়ে যাবে। আর আপনি প্রতিমাসে বেশ ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার লাভের কিছু টাকা ফুড পান্ডা কেটে নিবে।
Cointiply সেরা টাকা ইনকাম অ্যাপ : এটি একটি প্রতিষ্ঠিত টাকা ইনকাম করার অ্যাপ। আপনি এই অ্যাপের সাহায্যে গেম খেলে, চ্যাটিং করে ইনকাম করতে পারবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিন বোনাস পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া এখানে সার্ভে করে, ভিডিও দেখে বিভিন্ন tasks পূরণ করে ইনকাম করতে পারবেন। আর এখানে কোন প্রকার দক্ষতা ছাড়া ইনকাম করতে পারবেন। প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে। তারপর একাউন্ট তৈরি করতে হবে। তাহলে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।
People per hour : এটি একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ যা মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার দক্ষতার প্রয়োজন। কনটেন্ট রাইটিং, ট্রান্সক্রিপশন, ইমেইল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার ইত্যাদি কাজ করা যায়।
আপনার কাজের দক্ষতার উপর এখানে offers তৈরি করতে হবে৷ আর offers এ আপনার কাজের বর্ণনা এবং প্রাইজ সেট করে দিতে হবে। এটা fiverr এর মতো কাজ করে। কোন বায়ার আপনার কাজ কিনে নিলে আপনি কাজ submit করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আজকের এই আর্টেকেল। যার মধ্যে আমরা আলোচনা করব ফটো বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম, মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস, মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
আমাদের আলোচনা ছাড়া কোনো প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url