বাসক পাতার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
বাসক পাতার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
বাসক পাতার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। চিরসবুজ গুল্ম জাতীয় এক ধরনের উদ্ভিদ হলো বাসক যা প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদ ও প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। বাসক পাতায় প্রধানত ভেসির নামক একটি অ্যালকোলয়েড থাকে যা এর প্রধান ওষুধি শক্তি প্রদান করে৷
শীতের শুরুতেই ঠান্ডা গরমের সমস্যায় সর্দি কাশির প্রকট বাড়ে। বাসক পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে :
- বাসক পাতা শুধু শরীরের পক্ষেই নয় বরং আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। পেট অপরিষ্কার থাকার কারণে অনেকের ব্রণের সমস্যা দেখা যায় তারা বাসক পাতার রস খেলে উপকারিতা পাবেন। বাসক পাতা যেমন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে তেমনি রক্ত পরিষ্কার রাখার জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
- জ্বর, সর্দি-কাশি দূর করতে বাসক পাতার উপকারিতা অনেক। আপনার যদি বহু পুরনো কাশির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এক চামচ মধু বাসক পাতার সাথে মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি থেকে আরাম পাওয়া যাবে। বাসক পাতা শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- চুলকানি প্রতিরোধ করতে কয়েকটি বাসক পাতার সাথে এক টুকরো কাঁচা হলুদ একসাথে পেটে চুলকানির জায়গাতে লাগিয়ে রাখলে কিছুদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যাবে।
- ঠান্ডা জনিত সমস্যার কারণে বুকে কফ জমে এবং অতিরিক্ত কাশি হয়। যদি এই কাশি এবং কফের সমস্যা দূর করতে না পারেন তাহলে বাসক পাতার রসের সাথে মধুসহ খেলেই দীর্ঘদিন বুকে জমে থাকা কফ দূর হবে খুব সহজেই। বাসক পাতা কফ তরল করে সহজে ফুসফুস ও শ্বাসনালী থেকে বের করে দেয়।
- বাসক পাতার রস বা নির্যাস দিয়ে প্রাকৃতিক কফ সিরাপ তৈরি করা হয়। এতে কৃত্রিম সিরাপ এর চেয়ে বেশি নিরাপদ ও পাশ্ব প্রতিক্রিয়াবিহীন।
- যক্ষা রোগের চিকিৎসায় বাসক পাতার ওষুধ গুণাগুণ রয়েছে। বাসক পাতাতে এন্টি মাইক্রোবাল উপাদান থাকে যা যক্ষা রোগ সরাতে ভীষণ কার্যকরী। তাছাড়া এটি ব্রংকাইটিস কাশির সমস্যা সমাধান বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে।
- অনেক সময় দেখা যায় প্রসাব করার সময় জ্বালাপোড়া অনুভব হয়। বাসক গাছের ফুল বেটে মিশ্রীর সাথে শরবত করে খেলে এই রোগ নিরাময় হবে।
- যদি কারো ঋতুস্রাবে সমস্যা থেকে থাকে তাহলে বাসক পাতার রস খেলে এই সমস্যা দূর হবে। অনেকের পেট ব্যথা জনিত সমস্যায় ভুগেন এবং অতিরিক্ত রক্তপাত হয় নিয়মিত এই পাতা খাওয়ার ফলে উপকার মিলবে।
- দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লর বা পাইরিয়া হলে বাসক গাছের পাতা ভালোভাবে ধুয়ে পানি দিয়ে সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করলে এই সমসর থেকে উপশম মিলবে।
- আয়ুর্বেদিক মতে আমাদের দেহে নানা দোষ থাকে যার ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। আয়ুর্বেদিক মতে শরীরের সুস্থ থাকা নির্ভর করে বায়ু বৃত্ত এবং কফ এই তিনটা বিষয়ের ভারসাম্যের উপরে। আপনি যদি বাসন পাতা নিয়মিত সেবন করেন তাহলে শারীরিক ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
- বাসক পাতার নির্যাস রক্ত বিশুদ্ধ করে এবং শারীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। ফলে আমাদের শরীর বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকে এবং সুস্থ থাকে।
- বাতের ব্যথা রোধ করতে কাজ করে বাসুক পাতা। বাসক পাতা রাতের ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকরী।
- বাসক পাতার উপকারিতার মধ্যে অন্যতম একটি হলো মাংসপেশিতে টান ধরলে দ্রুত নিরাময় পাওয়া যায়। চুন হলুদ এর সাথে বাসক পাতা বেটে একসাথে মিশিয়ে বেশ কিছুক্ষণ প্রাণকৃত জায়গায় মালিশ করুন ধীরে ধীরে ব্যথা কমে যাবে।
- কোন কাটা বা ক্ষতের উপর বাসক পাতার রস লাগালে রক্তক্ষরণ কমে যায় এবং ক্ষত দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম
বাসক পাতা বহু প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদিক ও হেকিমি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসেছে৷ বিশেষত ঠান্ডাজনিত কারলে, কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং বিভিন্ন সংক্রমণ নিরাময়ে কার্যকর। তবে এই পাতার রস খাওয়ার নিয়ম যথাযথভাবে মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। যাতে এটি উপকারী হয় এবং কোনো পাশ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না করে।
নিয়ম অনুসারে বাসন পাতার রস খাওয়ার জন্য এটি সাধারণত কাঁচা অবস্থায় অথবা ফুটিয়ে নিয়ে গ্রহণ করতে হবে। নিচে বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে :
- বাসন পাতা ৫-৬টি ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে৷ ব্লেন্ডারে বা পাটাতে করে রস বের করতে হবে। ১ চামচ পরিমাণ এই রস সকালে খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে। স্বাদ বাড়ানোর জন্য মধু বা লেবুর রস মেশাতে পারেন।
- সাধারণত ১০-১২টি বাসন পাতা ২ কাপ পানির মধ্যে ফুটিয়ে নিতে হবে। পানি অর্ধেক কমে এলে ছেঁকে নিতে হবে। প্রতিদিন বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম মেনে খেতে হবে।
- কাশির জন্য এক চামচ রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খাওয়া যেতে পারে।
- শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা থাকলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ বাসক পাতার রস খেলে শ্বাসনালী পরিষ্কার হয়।
- জ্বর ও সংক্রমণে ২-৩ চামচ বাসক পাতার রস সামান্য গরম করে খেলে আমার পাওয়া যায়।
রাম বাসক গাছের উপকারিতা
রাম বাসক গাছ বেশ কিছু ওষুধি গুণ সম্পন্ন, যা আমাদের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এর পাতা, ফুল এবং বীজ সবগুলো উপকারী। রাম বাসকের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে :
শ্বাসকষ্ট এবং কাশি : রাম বাসকের পাতা ও নির্যাস শ্বাসকষ্ট, সর্দি ও কাশির মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
রক্তপ্রদর ও রক্তকাস রোগ : রাস বাসক রক্তপ্রদর এবং রক্ত কাস রোগের চিকিৎসায় বিশেষ উপকারী। এটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ ওষুধ হিসেবে পরিচিত।
ত্বকের জন্য : রাম বাসক ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন : বসন্ত, দাগ, রং ফর্সা করতে সাহায্য করে।
রাস বাসক গাছটি বায়ু পরিশোধনকারী হিসেবে পরিচিত। এটব বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করে এবং ঘরের ভিতরের বাতাসের মান উন্নত করতে সাহায্য করে থাকে বলে জানা যায় ।
বাসক পাতার বিজ্ঞানসস্মত নাম ও উপকারিতা
বাসক পাতার বিজ্ঞানসম্মত নাম হলো Justicia adhatoda (বা Justicia adhatoda). এটি একটি ওষুধ গাছ যা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগে। বাসক পাতা সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সমাধান করতে পারে।
বাসক পাতার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব বাসক পাতার ওষুধি গুণাগুণ সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।
বাসক পাতার ওষুধি গুণাগুণ
বাসক পাতা বহু বছর ধরে আয়ুর্বেদ, ইউনানী ও হেকিমি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বাসক পাতা প্রধানত কাশির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে হাঁপানি ও ব্রংকাইটিসের ক্ষেত্রে এটি খুবই উপকারী।
বাসক পাতার মধ্যে অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা জ্বর ও ঠান্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বাসক পাতার চা বা রস পান করলে গলার ব্যথা ও খুশখুশে কাশি কমে।
এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান শরীরের রক্ত পরিশোধ করে এবং ত্বকের রোগ যেমন : ফোঁড়া, চুলকানো ও একজিমা দূর করতে সাহায্য করে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। পাকস্থলীর গ্যাস, অম্বল ও পেটের ব্যথা উপশম করতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এটি বেশ উপকারী হতে পারে।
বাসক পাতার বাটা ক্ষতস্থানে লাগালে দ্রুত সেরে যাবে। বাসক পাতার ওষুধি গুণাগুণ একাধিক কারণে স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে অনুসরণ করা উচিত।
বাসক গাছের ব্যবহার
বাসক গাছের ব্যবহার অন্যন্য। বসন্তঋতুতে নানান ফুলের মেলায় বাসক গাছেও যেন হাসে। তখন বাসকের শুধু সাদা রঙের ফুলের দেখা মেলে না বরং লাল হলুদ রঙের হয়।
আফ্রিকাতে এই গাছ জন্মে থাকে। বীজ এবং শাখা কাটিং করে এর বংশবিস্তার ঘটানো যায়। বাসকের পাতা শুকনো হোক অথবা তাজা হোক উভয়ই ওষুধের অনেক বেশি কাজে লাগে। এই পাতার নির্যাস সিরাপ বা রস বানিয়ে বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।
এখন তো বাসকের সিরাপ জাতীয় ওষুধ পাওয়া যায়। দুগন্ধ নাশক ও চর্মরোগের ওষুধ হিসেবে আগে থেকে ব্যবহার দেখা যায়। এছাড়া আপনি যদি গোসলের আগে এই বাসক পাতা নির্যাস গায়ে মাখেন তাহলে চর্মরোগের উপকার পাবেন।
বাসক পাতাতে কিছু ক্ষারীয় উপাদান রয়েছে যার ফলে ছত্রাক হয় না এবং পোকামাকড় ধরে না। ফসলি জমিতে বাসক পাতক দিয়ে তৈরি সবুজ সার কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক হিসেবে কাজ করে।
আজকাল তো চায়ের উপকরণ হিসেবে বাসক পাতা খাওয়া হচ্ছে। বাসক পাতা শুকিয়ে গুড়া করে হারবার চা বানানো হয় যা শরীর ডিটক্সিফাই করে। তাছাড়া এই পাতা থেকে এক ধরনের রঙ তৈরি করা হয়।
বাসক বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থাতেও নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। বাসক গাছের ছাল বা মন মূল সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গার্গল করলে গলা ফোলা ভাব ও ব্যথা কমে। শুধু শরীরের পক্ষেই নয় ত্বকের যত্নে বাসক পাতার ব্যবহার করা হয়। কিছু হরবার ফেসপ্যাকে বাসক পাতার নির্যাস ব্যবহার করা হয়।
বাসক পাতা খাওয়ার নিয়ম
বাসক পাতা সর্দি-কাশি দূর করতে খুবই উপকারী। বাসক পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন :
বাসক পাতার রস : বাসক পাতার রস করে তাতে ১-২ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে সর্দি ভালো হবে।
বাসক সেদ্ধ করে : বাসক পাতা পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি ছেঁকে নিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় খেলে কাশি উপশম হবে।
বাসক পাতার চা : বাসক পাতা পানিতে ভিজিয়ে চা করে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
জেলি তৈরি করে : বাসক পাতার রস, চিনি, গোলমরিচ, ঘি ও মধু দিয়ে সিদ্ধ করে জেলি তৈরি করে খেতে পারেন।
বাসক পাতার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব লাল বাসক পাতার গুণাগুণ সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।
লাল বাসক পাতার গুনগুন
লাল বাসক পাতা একটি ওষুধি উদ্ভিদ ডা বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি শ্লেষ্মানাশন, কাশির ওষুধ এবং শ্বাসকষ্টে উপকারী। তাছাড়া এটি জীবাণুনাশক এবং রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে। লাল বাসক পাতার গুণাগুণ হলো :
- লাল বাসক পাতা শ্বাসনালীর লালাগ্রন্থিকে সক্রিয় করে ফলে সর্দি, কাশি তাড়াতাড়ি ভালো হয়।
- লাল বাসক পাতার রস কাশি কমাতে সাহায্য করে।
- লাল বাসক শ্বাসকষ্টের সমস্যা সমাধান করে সাহায্য করে।
- লাল বাসক পাতা ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে।
- এটি জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে যা অনেক রোগের কারণ হতে পারে।
বাসক পাতার ব্যবহৃত অংশ
বাসক পাতা বহুবিধ ভেষজ গুণাগুণ সম্পন্ন। যা চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷ আয়ুর্বেদ, ইউনানী ও লোকজ চিকিৎসায় এটি বিশেষভাবে পরিচিত। বিশেষকরে যাদের শ্বাসকষ্ট, কাশি ও জ্বরের সমস্যা রয়েছে। এই বাসক পাতার ব্যবহার শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর।
বাসক পাতার প্রধান ব্যবহার হয় শ্বাসকষ্ট ও কাশির চিকিৎসায়। এটি মিউকাস বা কফ সরিয়ে শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। সাধারণত বাসক পাতার রস, চা তৈরি করে পান করা হয়। যা ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে পারে। বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন সকালে এক চামচ খেলে শ্বাস যন্ত্রের সমস্যা কমে যায়।
বাসক পাতার আরকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হলো এটি রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এবং ফোঁড়া, চুলকানি, একজিমার মতো চর্মরোগ নিরাময় করে। বাসক পাতা শুকিয়ে গুড়া করে ব্যবহার করলে এটি রক্তশোধক করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
লেখকের মন্তব্য
বাসক পাতার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল। যার মধ্যে আমরা আলোচনা করেছি বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম, বাসক পাতার ইংরেজি নাম, বাসক পাতার ব্যবহৃত অংশ, বাসক পাতা খাওয়ার নিয়ম, লাল বাসক পাতার গুণাগুণ, বাসক গাছের ব্যবহার ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে।
আমাদের আজকের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া চেষ্টা করব।
আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url