পার্সিমন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা। বাংলাদেশে পার্সিমন ফলের চাষ পদ্ধতি 2025
পার্সিমন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
পার্সিমন ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। পার্সিমন ফল দেখতে ছোট আকারের হলেও এই ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর। কেননা একটি পার্সিমন ফলে প্রায় ১৬৫ গ্রাম পুষ্টি উপাদান থাকে।
পার্সিমল ফলে রয়েছে ক্যালোরি, শর্করা, ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি। পার্সিমন ফলে এতগুলো পুষ্টিকর উপাদান থাকায় এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি। পার্সিমন ফলের যাবতীয় উপকারিতা নিচে দেওয়া হলো-
হজমে সাহায্য করে : আমাদের দেহে অনেক রোগ হয় খাবার হজম না হওয়ার কারণে। খাবার যদি সঠিকভাবে হজম না হয় তাহলে আমাদের দেহে অনেক রোগ দেখা দেয়। পার্সিমন ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে : পার্সিমন ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে শর্করা, থায়ামিন বি১, রিবোপ্লাভিন বি২ ও ফোলেট রয়েছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। পার্সিমন ফলে ফ্যাট ও সোডিয়াম এর পরিমাণ খুবই কম তাই এটি ওজন বাড়ায় না। তাই যারা ওজন কমাতে চান তারা খাদ্য তালিকায় এই ফলটি রাখতে পারবেন।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা : পার্মিমন ফল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কেননা এই ফলে ক্যালরির পরিমাণ অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেক কম। আবার এই ফলটি খেতে মধুর মত মিষ্টি। অনেকেই ডায়াবেটিসের কারণে মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতে পারেন না। তবে আপনি চাইলে মিষ্টির স্বাদ মেটাতে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পেতে এই পার্সিমন ফল খেতে পারেন।
রূপের লাবণ্য ধরে রাখে : আমাদের দেহের বেশিরভাগ রোগের ঔষধ উদ্ভিদ এবং ফুলে রয়েছে। ঠিক তেমনি রূপের লাবণ্য ধরে রাখার জন্য পার্সিমন ফল এর উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ফলে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। দীর্ঘদিন ধরে চেহারার সৌন্দর্য এবং লাবণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুকি কমায় : পার্সিমন ফলে রয়েছে ভিটামিন ই। যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন বি শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া পার্সিমন ফলে প্রচুর পরিমাণ বেটা-কেরোটিন থাকায় এটি হৃদরোগের ঝুকি কমায়।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে : পার্সিমন ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি অক্সিজেন থাকায় দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পার্সিমন ফলে ভিটামিন এ বেশি পরিমাণ থাকায় চোখের যাবতীয় সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে : পার্সিমন ফল কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে বড় ভূমিকা পালন করে। পার্সিমনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং আশ। তাই নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারেন।
পার্সিমন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব পার্সিমন ফলের দাম সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।
পার্সিমন ফলের দাম
পার্সিমন ফলের উপকারিতা পার্সিমন ফল অতন্ত্য পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল। পার্সিমন ফলের দাম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায় যে বাংলাদেশে এই পার্সিমন ফলের বাজার মূল্য কত অথবা বিদেশে এই ফল কেমন দামে বিক্রি হয়ে থাকে।
পার্সিমন ফল অন্যান্য দামি ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ফল। বাংলাদেশে মাঝে মাঝে এই পার্সিমন ফলের আমদানি দেখা যায়। এছাড়া অন্যান্য দেশে এই পার্সিমন ফল বাংলাদেশি টাকায় ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। বাংলাদেশের বাজারে পার্মিমন ফলের দাম হলো প্রতি কেজি ৭০০-৮০০ টাকা। বাজার ছাড়াও বড় বড় সুপার শপে পার্সিমন ফল পাওয়া যায়।
পার্সিমন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশে পার্সিমন ফলের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।
বাংলাদেশে পার্সিমন ফলের চাষ পদ্ধতি
পার্সিমল অতন্ত্য পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু ফল হওয়ার এটি এখন বাংলাদেশেও চাষ হচ্ছে। এটি মূলত বিদেশি ফল। তবে বিদেশি এই ফল দামি হওয়ার বাংলাদেশে অনেক কৃষি উদ্যোক্তা এই ফলটি চাষ শুরু করেছে।
বাংলাদেশে যেভাবে পেয়ারা চাষ করা হয় ঠিক সেভাবে এই ফলের চাষ করা যায়। পার্সিমল গাছের ফল দিতে প্রায় ৩/৪ বছর সময় লাগে। পার্সিমল ফলটি সাধারণত শীত মৌসুমে পাওয়া যায়। এটি শীতের শুরু থেকে শেষ অব্দি পাওয়া যায়। অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এই ফল পাওয়া যায়। ঠান্ডা আবহাওয়ায় এই ফলের ফলন অনেক ভালো হয়। অনেকে ছাদে আবার অনেকে মাটিতে পার্সিমন ফলের গাছ লাগিয়ে থাকে।
তবে সবচেয়ে ভালো হয় মাটিতে এই গাছ রোপন করলে।মাটিতে পার্সিমন গাছ রোপন করলে গাছ তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়। তবে ইচ্ছে করলে বাড়ির ছাদে পার্সিমন গাছ লাগানো যাবে। সঠিক পরিচর্যা এবং সময় দিলে ছাদে লাগানো গাছেও ফল ধরবে।
পার্সিমন গাছে পানি দেওয়ার সময় অনেকে একটি ভুল করে থাকে সেটি হলো গাছে অনবরত পানি দেয়। অনেকে গাছে প্রতিদিন পানি দেয়। গাছের গোড়ায় ডেন পানি জমা না থাকে সেদিন খেয়াল রাখতে হবে। তাছাড়া গাছের গোড়া শুকানো অব্দি পানি দেওয়া যাবে না।
গাছ লাগানোর এক মাস পর গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে পরিমাণ মতো জৈব সার, টিএসপি, পটাশ, হাড়ের গুড়া, খৈল ইত্যাদি একসাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এতে গাছের পাতা ঠিক থাকবে এবং গাছ বড় হবে।
পার্সিমন গাছে ফল ধরতে প্রায় ৩/৪ বছর সময় লাগে। এর ভিতরে গাছের সঠিক পরিচর্যা নিতে হবে। পার্সিমন দামি ফল তাই এই গাছের পরিচর্যা ভালো করে করতে হবে।
পার্সিমন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব পার্সিমন ফল গাছ সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।
পার্সিমন ফল গাছ
পার্সিমন চীনের সীমানা ছাড়িয়ে জাপান থেকে ইউরোপ হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকাতে। শরৎ আসতেই ঘন সবুজ পাতায় ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিতে শুরু করে। ইউরোপের বাজারে জেঁকে বসা এই ফল সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া যায়।
পার্সিমল গাছের উচ্চতা ৪.৫-১৮ মিটার (১৫-৬০) ফুট হতে পারে। চারা রোপণের সাত বছরের মাথায় ফল দিতে শুরু করে। লিঙ্গভেদে দুই ধরনের গাছ হয়। একই গাছে পুরুষ ও স্ত্রী ফুল হয় না। পুরুষ ও স্ত্রী ফুল আলাদা গাছে ফোটে। কাঁচা ফলের রং গাঢ় সবুজ। পাকতে শুরু করলে উজ্জ্বল হলুদ, কমলা, গোলাপি, ডালিম রং, হালকা লাল ও গাঢ় লাল হতে পারে। রং অনেকটাই নির্ভর করে প্রজাতির উপর।
পার্সিমন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। যার পরবর্তী অংশে আমরা আলোচনা করব জাপানের জাতীয় ফলের নাম সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।
জাপানের জাতীয় ফলের নাম কি
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জাপানের নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলার প্রায় দুই লাখ অধিবাসী - অধ্যুষিত নগরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। কিছুদিনের মধ্যেই সেই বিরানভূমিতে যে উদ্ভিদ কুড়ি ফুটিয়ে পুনরায় জীবনের সূচনা করে, সেটি ছিল পার্সিমন।
বর্তমান জাপানের জাতীয় ফল। পার্সিমন বা কাকি পুষ্ঠিগুণে ভরপুর খুব মিষ্টি এবং রসাল একটি ফল। পার্সিমন উদ্ভিদের কান্ড অনেক শক্ত একদম আবলুস কাঠের মতো। তাই পারমাণবিক বোমার তীব্রতা সত্বেও জীবন ধরে রাখতে পেরেছিল।
Persimmon fruit
Persimmon is a fleshy, tropical and deciduous fruit belonging to the Ebenaceae family. It is known for its sweet and sometimes astringent flavor and its vidrant colors ranging from yellow-orange to deep red. Persimmons are popular in many Asian cuisines and enjoyed fresh, dried or cooked.
Key Characteristics:
Taste : Ripe persimmons are sweet and juicy, with a honey-like flavor. Some varieties can have an astringent taste when unripe.
Appearance : The skin can range from glossy light yellow-orange to dark red-orange.The flesh is usually yellow, orange or dark brown.
Size : Persimmon varieties range in size from 1.5 to 9 cm in diameter.
Shape : Persimmons can be spherical, acornshaped or pumpkin-shaped.
Taxture: The texture can vary from firm and easy to eat to soft and juicy.
পার্সিমন ফল খেতে কেমন
পার্সিমন ফলের উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি এই ফলটি খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মিষ্টি। পার্সিমন ফলের স্বাদ অনেকটা মধুর মতো। আবার পার্সিমন ফলে খেজুর এবং আলু বোখারার মতো স্বাদ পাওয়া যায়।
এই ফলটি দেখতে অনেকটা টমেটোর মত। এছাড়া পার্সিমন ফল হুবহু গাব এর মত দেখা যায়। এটি গাবের মতো দেখতে হলেও ভেতরে আলাদা। পার্সিমন ফল বেশ কয়েক রঙের হয়ে থাকে হলুদ, কমলা, লাল ইত্যাদি।
লেখকের মন্তব্য :
পার্সিমন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা আর বাংলাদেশে পার্সিমন ফলের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন পোস্ট পড়ুন।
আমাদের আজকের আলোচনা ছাড়া কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া চেষ্টা করব।
আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url