সবরি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত 2025
আপনি যদি সবরি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আজকে আমরা সবরি কলা খাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সবরি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। পাশাপাশি সবরি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা, খালি পেটে কলা খেলে কি গ্যাস হয়, সাগর কলার উপকারিতা ও অপকারিতা, চিনি চম্পা কলার উপকারিতা, সাগর কলার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে সম্পন্ন আর্টিকেল পড়ুন।
সূচিপত্র
সবরি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
সবরি কলার উপকারিতা অনেক। সবরি কলা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়ম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি-৬, আয়রন, ভিটামিন সি এবং ফাইবার। নিয়মিত সবরি কলা খাওয়ার ফলে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে।
কিন্তু শরীরের এনার্জি পাঠাতে এবং সিস্টেমের জন্য সবরি কলা বেশ উপকারী। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে সবরি কলা খেলে আপনার শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এতে করে আনার ওজনও বাড়তে পারে। আর তাই জন্য নিয়ম মেনে সঠিক পরিমাণে সবরি কলা খাওয়া উচিত।
সবরি কলা খাওয়ার উপকারিতা
সবরি কলার উপকারিতা আমরা কমবেশি সকলেই জানি। এই ফলটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আজকে আলোচনার শুরুতেই চলুন জেনে নেওয়া যাক সবরি কলা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত :
- সবরি কলাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন এবং উচ্চ মাত্রায় ক্যালরি থাকে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের শরীরিক কার্যক্রমে ভূমিকা পালন করে।
- আপনি যদি শরীরিক ভাবে দুর্বলতায় ভোগেন কিংবা মাঝেমধ্যে শরীরে দুর্বলতা অনুভব করেন। তাহলে বলবো নিয়মিত সবরি কলা খান। কারণ সবরি কলাতে উচ্চ মাত্রার কার্বোহাইডেট থাকে যা অতি দ্রুত আপনার শরীরে শক্তির যোগান দিতে পারে।
- সবরি কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো কাজ করে। আর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে আপনি হৃদরোগের ঝুকি থেকেও রক্ষা পাবেন।
- আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে সবরি কলা খেতে পারেন। কারণ এই কলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা খেলে দীর্ঘদিন পর্যন্ত আপনার পেট ভরা থাকে। ফলে ওজন কমতে থাকে।
- আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে সবরি কলা খাওয়া শুরু করুন। কারণ এই কলাতে থাকে ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে।
- এই কলাতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রেডিক্যাল থেকে খুব সহজেই সুরক্ষা দিতে পারে।
- মানসিক দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ কমাতে সবরি কলা বেশ উপকারী। কারণ এতে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড রয়েছে। আপনার শরীরে সেরেটোনিন উৎপাদন করে এবং মানসিক অবসাদ দূর করে।
- আপনার শরীরের জয়েন্টের ব্যথা হাড়ের ব্যথা দূর করতে খেতে পারেন সবরি কলা। এই কলাতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন কে হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়। শুধু তাই নয় অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে খুব ভালো কাজ করে সবরি কলা।
- কলাতে থাকা ফাইবারের কারণে এটি রক্তে শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। যা ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য ভীষণ উপকারী।
- নিয়মিত কলা খেলে কলাতে থাকা ভিটামিন সি আপনার ত্বক উজ্জ্বল করে।
- সবরি কলাতে থাকা পটাশিয়াম আপনার কিডনির কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয় এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি কমায়।
- আপনার শরীরের ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধিতে কাজ করে সবরি কলার ভিটামিন সি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান।
- আপনি যদি শরীরে পানি শূন্যতা দূর করতে চান তাহলে নিয়মিত সবরি কলা খান।
- নিয়মিত কলা খেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং স্মৃতি শক্তি বাড়ে। ফলে আপনার স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
সবরি কলার অপকারিতা
- সবরি কলা উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত। ফলে অতিরিক্ত এই কলা খেলে আপনার শরীরে ক্যালরির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যা আপনার ওজন বাড়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
- অতিরিক্ত মাত্রায় কলা খেলে এতে আপনার পেট ফোলা, পেটের অস্বস্তি এবং পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে।
- যদিও সবরি কলা রক্তের শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু মাত্রা অতিরিক্ত খেলে আপনার রক্তের শর্করার স্তর বেড়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য ক্ষতিকর।
- অতিরিক্ত পরিমাণে দীর্ঘদিন ধরে কলা খেতে থাকলে আপনার এলার্জি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের শরীর অতিরিক্ত এলার্জি প্রবণ তাদের এই সমস্যা বেশ দেখা দেয়।
- সবরি কলাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। অতিরিক্ত খেলে আপনার শরীরে পটাশিয়ামের স্তর বেড়ে যেতে পারে। আর পটাশিয়ামের স্তর বাড়লে সেটি আপনার কিডনির রোগের ঝুঁকি আরো জটিল করে তৃলতে পারে।
- রাতে অতিরিক্ত কলা খেলে আপনার অনিদ্রার সমস্যা হতে পারে। তাই রাতের বেলা অতিরিক্ত কলা না খাওয়া উচিত।
- কলাতে কার্বোহাইড্রেট এবং সুগারের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। অতিরিক্ত খেলে আপনার দাঁতের সমস্যা হতে পারে।
খালি পেটে কলা খেলে কি গ্যাস হয়
সাগর কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
সাগর কলা খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে। সাগর কলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সাগর কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা :
- সাগর কলায় ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি রয়েছে। এই ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরকে প্রশান্তি দিয়ে থাকে এবং সেই সাথে সুন্দর ঘুম হওয়ার জন্য সাহায্য করে।
- সাগর কলায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস। এই ম্যাগনেসিয়াম দাঁতের কার্যকারিতা এবং শক্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে এতে থাকা ফসফরাস দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।
- সাগর কলায় রয়েছে ফাইবার, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন বি। ফাইবার রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা পালন করে। যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর ভিটামিন বি৬ ইনসুলিন উৎপাদন করে এবং মেটাবলিজম উন্নত করতে সাহায্য করে থাকে।
- সাগর কলাতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রন রয়েছে। যেটা আমাদের হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সাথে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে থাকে।
- সাগর কলাতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, অ্যামিনো এসিড ও এন্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরকে পুষ্টি সরবরাহ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
সাগর কলার অপকারিতা
- সাগর কলা তাল এবং তার রসে শেখ রোজ সম্মিলিত থাকতে পারে যা ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য ক্ষতিকর।
- সাগর কলার স্যাকরোজ পরিমাণে বড়। যার শরীরে অধিক ক্যালোরি সরবরাহ করতে পারে। যা বেশি খাওয়া ক্ষতি করতে পারে।
চিনি চম্পা কলার উপকারিতা
চিনি চম্পা কলা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। যা বিভিন্নভাবে শরীরের উপকার করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে হজমশক্তি বৃদ্ধি, শক্তি বৃদ্ধি, হৃদরোগ প্রতিরোধ, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। চিনি চম্পা কলার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :
- চিনি চম্পা কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
- চিনি চম্পা কলায় প্রাকৃতিক শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। যা দ্রুত শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং কর্মশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ম ও ফাইবার সমৃদ্ধ চিনি চম্পা কলা। তাই এই কলা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- কলায় থাকা ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড সেরোটোনিন হরমোনের উৎপাদন বাড়ায় যা মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- চিনি চম্পা কলায় থাকা ভিটামিন বি, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
- চিনি চম্পা কলা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য উপকারী হতে পারে।
বাচ্চাদের জন্য কোন কলা ভালো
বাচ্চাদের জন্য নরম ও সহজে হজম হওয়া কলা ভালো। সাগর কলা, মালভোগ কলা বা চিনি চম্পা কলা খাওয়া ভালো। এই কলাগুলো নরম ও মিষ্টি হওয়ার বাচ্চাদের জন্য হজম করা সহজ। সাগর কলা, চিনি চম্পা কলা মিষ্টি ও হজম করতে কম সময় লাগে।
চিনি চম্পা কলা আকারে ছোট এবং নরম হওয়ার এটি শিশুদের জন্য একটি ভালো বিকল্প। কলন শিশুদের জন্য একটি চমৎকার খাবার কারণ এতে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন সি রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
তবে কলা খাওয়ানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন তা পাকা হয় এবং বাচ্চাকে কাঁচা কলা না খাওয়ানো হয় কারণ কাঁচা কলা হজম করা কঠিন হতে পারে। ৬ মাস বয়সী বাচ্চাদের জন্য কলা একটি ভালো খাবার হতে পারে।
সবরি কলা চেনার উপায়
সবরি কলা চেনার উপায় নিচে দেওয়া হলো-
রং: পাকা সবরি কলার খোসার রং হলুদ হয়। কোনো অংশে সবুজ বা কালচে ভাব থাকলে তা পরিপক্ব নাও হতে পারে।
আকার ও গঠণ : সবরি কলা সাধারণত আকারে লম্বা হয়। একসাথে অনেকগুলো কলা থাকলে ভালো থাকে।
দাগ: কার্বাইড দিয়ে পাকানো কলার গায়ে দাগ থাকে না। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে পাকা কলার গায়ে গালকা দাগ থাকে।
গন্ধ : পাকা কলার একটি মিষ্টি গন্ধ থাকে। যদি কলার মধ্যে কাঁচা গন্ধ থাকে তবর তা পরিপক্ব হতে সময় লাগবে।
স্বাদ : সবরি কলার স্বাদ মিষ্টি এবং নরম খেতে হয়।
চম্পা কলার অপকারিতা
চম্পা কলন সাধারণ কলার মতোই বেশি পরিমাণ খেলে অপকারিতা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত কলার খাওয়ার কারণে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে, কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে, ওজন বৃদ্ধি হয় এবং ডায়াবেটিস রোগিদের সমস্যা হতে পারে। চম্পা কলার অপকারিতা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো-
- কলাতে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে।
- কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি হতে পারে।
- কলায় প্রাকৃতিক শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। তাই বেশি পরিমাণে খেলে ওজন বাড়তে পারে।
- ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য বেশি কলা খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ এতে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে।
- কলায় থাকা ফ্রুকটোজ এবং ফািবার একসাথে গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে।
- যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদের বেশ পরিমাণ পটাশিয়ামযুক্ত খাবার মানে কলন খাওয়া উচিত নয়।
- কলায় থাকা চিনি ও কার্বোহাইড্রেট দাঁতের ক্ষয় বা অন্যান্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।
রাতে ঘমানোর আগে কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলা খেতে আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করে থাকি। কলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। কলাতে রয়েছে পুষ্টি ও ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি। যা আমাদের শরীরের যে কোন ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে থাকে। বিশেষ করে রাতে যাদের ঠিকমতো ঘুম হয় না তারা নিয়মিত প্রতিদিন ঘুমানোর আগে কলা খায় তাহলে ঘুমের সমস্যাও দূর হবে।
কলা শরীরের টান রোগ থেকে শুরু করে যেকোনো রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তবে যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের বেশি কলা খাওয়া উচিত নয়। কলা খেলে আমাদের ঘুমের পাশাপাশি ওজন বাড়াতে ও সহায়তা করে। তবে কলা তো অনেক রকম হয়। এর মধ্যে নিয়মিত সবরি কলা খাওয়ার উপকারিতা বেশি রয়েছে।
গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা কলা গর্ভাবস্থায় খাওয়া উপকারিতা অনেক। এটি খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়ের নানা অসুখ দূর হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত :
- কাঁচা কলায় ভিটামিন, মিনারেলসহ আরো অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যেগুলো গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
- কাঁচা কলায় থাকা উচ্চ ভিটামিন বি৬ রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে এবং রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। যার ফলে গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা একজন মায়ের জন্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
- গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাদ্য তালিকায় রাখলে এতে থাকা ভিটামিন বি৪ রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। তাছাড়া শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেননা এই কলা খেলে শরীরে ফাইবার পাওয়া যায়। যেটি পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখে ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। কেননা এই কলাতে থাকে আশঁ। যেটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। তাছাড়া এই কলাতে থাকা ভিটামিন বি৬ যেটি গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে এই সময় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে হৃদরোগের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। কেননা এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যেটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা কাঁচা কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে হজম প্রক্রিয়া খুব দ্রুত সম্পূর্ণ হয়। তাছাড়া পেটের ভেতরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত পেট ফোলার সমস্যা এই কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url